,

শায়েস্থাগঞ্জে আতঙ্কের নাম ছিল টাইগার ইলিয়াছ!

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার দাউদনগর গ্রামের কনা মিয়ার ছেলে ইলিয়াছ মিয়া। সে ছিল শায়েস্তাগঞ্জের আতঙ্ক। তার নাম শুনলেই লোকজনের মাঝে ভয় দেখা দিত। সে নিজেকে যুবদল ছাত্রদলকর্মী বলে পরিচয় দিত। ২০০৮ সালের আগে সে শায়েস্থাগঞ্জে ত্রাসের রাজ্য কায়েম করে। মূলত ২০০০ সাল থেকে সে শায়েস্থাগঞ্জ, দাউদনগর এলাকায় অপরাধ কর্মকান্ড শুরু করে। ধীরে ধীরে সে ভয়ংকর হয়ে উঠে। এরপর তার ভয়াবহতা শায়েস্থাগঞ্জে ছড়িয়ে পড়ে। কালো টাকা রোজগারে সে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। এলাকায় তার ভয়ে লোকজন আতঙ্কে বসবাস করতো। সে কাউকেই পাত্তা দিত না। ২০০৮ সালে ১৩ এপ্রিল সে দক্ষিণ লেঞ্জাপাড়ার বাসিন্দা মরম আলীর ছেলে আলী আহমদ সুজনকে হত্যা করে পলাতক ছিল। ঘটনার পর তার পিতা তাকে ত্যাজ্য করেন। এরপর সে ভারতে চলে যায়। সেখানে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে সে জড়িয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে চুনারুঘাটের আসামপাড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে নিজের অভিযান শেষে পুনরায় ভারতে চলে যেত। ২০১১ সালের ১৬ জুলাই সে একই রুটে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। পরে চুনারুঘাট থেকে বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী বাজারে যাওয়ার জন্য সে আব্দুল জলিলের সিএনজি চালিত একটি অটোরিক্সা ১ হাজার টাকায় ভাড়া নেয়। সন্ধ্যায় বাহুবল বাজারে পৌছে জলিল আর যাবে না বলে তার ভাড়া দাবি করে। এসময় ছোটন ৪শ’ টাকা দিয়ে বাকি টাকা পুটিজুরী বাজারে গিয়ে দেবে বলে চালক জলিলকে বলে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে ইলিয়াছ নিজেকে উল্লেখিত হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামী বলে পরিচয় দেয়। সাথে সাথে অটোরিক্সা চালক জলিল মোবাইলে ফোনে কথা অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে কথা বলে। কিন্তু সে মনে করে জলিল ফোনটি পুলিশকে করেছে। আর কিছু না ভেবে সে জলিলকে ছুরিকাঘাত করতে থাকলে সে দৌড়ে গিয়ে একটি বাসায় ঢুকে। এরপর আর কিছু সে বলতে পারে না। ঘটনার পর ইলিয়াছ প্রথমে ঢাকা গিয়ে চাকুরী খোঁজতে থাকে। পরে চাকুরী না পেয়ে সিলেট ও পরে বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলী যায়। সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়। দুটি হত্যা মামলার আসামী হিসাবে কারাগারে থাকা ইলিয়াছকে জেলেও সবাই সমীহ করে চলে।


     এই বিভাগের আরো খবর